পটভূমি : যশোরে সামাজিক বনায়নের কার্যক্রম শুরু হয় মূলত: ষাটের দশকে রাজশাহী বন সম্প্রসারণ বিভাগের একটি নার্সারী কেন্দ্রের মাধ্যমে। তখন জনগণের মধ্যে চারা বিতরণের মধ্যেই সীমাবধ্য ছিল এর ব্যাপ্তি। চারা বিতরণের মাধ্যমে এতদ্বাঞ্চলের ক্রমবর্ধমান বনজদ্রব্যের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়, এ উপলব্ধি থেকে ১৯৭৬ সনে যশোরে স্থাপন করা হয় একটি পূর্ণাঙ্গ বন সম্প্রসারণ বিভাগ। ৮০ ‘র দশকে (১৯৮২-১৯৮৭) এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় যশোর সামাজিক বন বিভাগ পতিত জমিতে জনগণকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে বনজসম্পদ সৃজনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আবির্ভূত হয়।
অধিক্ষেত্র : যশোর সামাজিক বন বিভাগের অধিক্ষেত্রে বর্তমানে ৫টি জেলা অন্তর্ভূক্ত, যথা যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও সাতক্ষীরা। এ বন বিভাগের অধীনে নিজস্ব (অধিগ্রহণকৃত) ভূমিতে ০৭টি সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এসএফএনটিসি) রয়েছে, যথা যশোর, শার্শা, ঝিনাইদহ, কোটচাঁদপুর, মাগুরা, নড়াইল ও সাতক্ষীরা। যশোর সামাজিক বন বিভাগের অধীনে মোট ২১টি সামাজিক বনায়ন প্ল্যান্টেশন সেন্টার বা উপজেলা নার্সারী কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি এসএফএনটিসির দায়িত্বে একজন ফরেষ্ট রেঞ্জার ও প্রতিটি এসএফপিসির দায়িত্বে একজন করে ফরেষ্টার নিয়োজিত। প্রতি জেলায় একটি করে সহকারী বন সংরক্ষক এর পদ রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস